লজ্জাস্থান হেফাজত না করলে কি ক্ষতি হয়? – ডা. এস আর খান
লজ্জাস্থান হেফাজত না করলে মানসিক, শারীরিক এবং সামাজিক ক্ষতি হতে পারে। মানসিকভাবে, এটি অপরাধবোধ, উদ্বেগ এবং বিষণ্নতার কারণ হতে পারে। শারীরিকভাবে, যৌনবাহিত রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সামাজিকভাবে, পরিবার ও সামাজিক সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে, যা ব্যক্তিগত জীবনে দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। নিচে আরো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে:-
১.রিজিক, রুজিরোজগারে বরকত উঠে যাবে। ব্যভিচারি ব্যক্তি অনেক সম্পদ পানির মতো দুহাত ভরে খরচ করেও তার প্রয়োজন মেটাতে পারেনা।
২.ঋনের দায় অনেক বেশি থাকে, লাখ টাকা থাকলেও কাজের কাজ কিছু হয়না।
৩.বৈধ উপার্জন বন্ধ হয়ে যায় অবৈধ পথে পা বাড়ায়।
৪.সফলতার পথগুলো বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিটা কাজে ব্যর্থ হয়। সারা দিন কাজ করেও কাজ শেষ হয়না। বিয়ের জন্য ভালো পাত্রী খুঁজে পায়না।
৫.বিপাদাপদ চারদিক থেকে ঝড়ের গতিতে বিপদ আসতে থাকে যেন বিপদের ই শেষ নেই।
৬.অপমানিত হওয়া ছোট বড় সকলের নিকট ই ছোট হতে হয়। সম্মান জিনিস টা উঠে যায়।
৭.সংসারে সবসময় ই ঝগড়া বিবাদ চলমান থাকে। মেজাজা খিটখিটে, শান্তি মতো ঘুমাতে পারেনা।
৮.সন্তান, স্ত্রী অবাধ্য হতে শুরু করে,নিজের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় সবকিছু।
৯.মানসিক বিকৃতি সবসময়ই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা। যেটা করা দরকার না করে উল্টো কাজ আগে করে, পরে অনুশোচনা করতে হয়।
১০.চেহারার সৌন্দর্য চলে যায়, বার্ধ্যকের চাপ দেখা যায়।
১১.অকাল মৃত্যু ও বিভিন্ন রোগ বালাই দেখা যায়।
১২.ইবাদত বন্দেগি আর আগের মতো করতে পারেনা। আজ করবো কাল করবো করতেই থাকে।
১৩.অন্তর কঠোর হয়ে যায়, পাপাচার বৃদ্ধি পায়,গোনাহ কে গোনাহ মনে হয় না।
১৪.কোন অন্যায় সামনে হলেও আর প্রতিবাদ করতে পারেনা, যেন সে বেঁচে থেকেও মৃত!
দৈহিক সৌন্দর্য মানুষ কিছুদিন মনে রাখে কিন্তু চারিত্রিক মাধুর্য, সৌন্দর্য সারাজীবন মনে রাখে। দৈহিক সৌন্দর্য ক্ষনস্হায়ি কিন্তু চারিত্রিক সৌন্দর্য চিরস্মরণীয়, সারাজীবনের সম্পদ।
এটা মানুষকে করে মহান। সৌন্দর্য জন্মগত ভাবে পেতে পারেন কিন্তু চরিত্র ভালো করতে হয় কঠোর সাধনা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রহম করুক আমিন।
দ্রুত বীর্যপাতের কারণে অনেক পুরুষ বিয়ে দেরিতে করে বা বিয়ে করতে ভয় পায়
দ্রুত বীর্যপাতের কারনে অনেক পুরুষ বিয়ে দেরিতে করে এবং করলেও দাম্পত্য জীবনে সুখি হতে পারে না।
দ্রুত বীর্যপাতের অনেকগুলো কারন আছে তার মধ্যে একটা না বললেই না সেটা রক্তে সেরোটোনিন (5-HT) নামক নিউরোহরমোন বা নিউরোট্রান্সমিটার বেশি থাকলে ভালো সময় পাওয়া যায়। এটা নার্ভে ও রক্তের কোষে ধারাবাহিকভাবে উৎপাদিত হতে থাকে।
দ্রুত বীর্যপাতে নিয়ন্ত্রনের জন্য যে ঔষধ দেওয়া হয় সেটা মূলত সেরোটোনিন এর মাত্রা পর্যাপ্ত রাখার জন্য। এই সেরোটোনিন এর আর একটা মজার কাজ আছে সেটা হলো ডিপ্রেশন হতে না দেওয়া। যাদের রক্তে কম থাকে তারা সবসময় ই ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকে।
প্রাকৃতিকগতভাবে যারা হাসিখুশি, এক্সারসাইজ অনুশীলন করে তাদের এটা ঠিক থাকবে ডিপ্রেশন হতাশা কম হবে এমনকি মিলনে সময় বেশি পাবে।
দ্রুত বীর্যপাত দূর করতে করনীয় কি?
১.মেডিটেশন বা মোরাকাবা অনুশীলন করলে দারুণ ফল পাবেন ইনশাআল্লাহ। ফজরের নামাজ এর পর বা এশার নামাজ পড়ে অনুশীলন করুন। মস্তিষ্ক ও সতেজ হবে,স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পাবে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব থাকা যাবেনা। ভালোবাসা ই ভরপুর থাকলে আপনার সময় ও বৃদ্ধি পাবে।
আপনি যেই পেশা বা কাজে নিযুক্ত সেটাকে উপভোগ করতে হবে। রাতজাগা যাবেনা।
২.বিভিন্ন কসরত অনুশীলন করলে ধীরে ধীরে সময়ের উপর নিয়ন্ত্রণ তৈরি হয় যেমন পেটের ব্যায়াম,কেগেলে এক্সারসাইজ, শ্বাস প্রশ্বাস বুক ভরে নেওয়া ইত্যাদি।
৩. বীর্যপাত হবে হবে মনে হচ্ছে তার ১০ -২০ সেকেন্ড আগেই থেমে যাবেন এটা বারবার করলে একটা সময় সময় নিয়ে আর মাথা ঘামাতে হবেনা।
৪.মিলনের আগে যথেষ্ট সময় নিয়ে ফোরপ্লে করলে ও ভালো ফল পাওয়া যাবে।
৫.সহবাসের আসন পরিবর্তন বা ভিন্নতা খুব ই উপকারি। একএক দম্পতিদের জন্য একএকটা আসনে সময় দীর্ঘায়িত হয়।
৬.অতিরিক্ত ভাত কমিয়ে শুকনা জাতীয় খাবার খাওয়া,সাথে ফলমূল খেতে হবে।
৭.মাথা যতো ঠান্ডা রাখা যায় তাহলে ও সময় কিছুটা হলেও বেড়ে যাবে।
৮.শেষ রাতের মিলন এবং একের অধিকবার বা বারবার মিলনে পুরুষের সময় বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
৯.ইড়া পিঙ্গলা নাড়ীর পেটের ব্যায়ামেও দারুন ফল পাওয়া যায়।
১০.যাদের সংবেদনশীলতা বেশি তাদের জন্য স্প্রে বা ক্রিম উপকারি হয়ে থাকে। এতো কিছুর পরও উপকার না পেলে স্বামী স্ত্রী দু’জনে একসাথে নিকটস্থ চিকিৎসক কে দেখিয়ে নিতে পারেন।
আরো পড়ুন:- বাসর রাতে প্রথম মিলনে করণীয় কি?
আরো পড়ুন:- ফোরপ্লে করার সঠিক পদ্ধতি
আরো পড়ুন:- যেই ১০ টি কারণে আপনার যৌন শক্তি কমে যাচ্ছে
আরো পড়ুন:- পানির মতো পাতলা বীর্য! ঘন করবেন কিভাবে?
আরো পড়ুন:- দীর্ঘক্ষণ সহবাস করার উপায় কি
আরো পড়ুন:- দ্রুত বীর্যপাত থেকে মুক্তির ১০ টি কার্যকরী উপায়
আরো পড়ুন:- খেজুর কিভাবে খেলে যৌন শক্তি বাড়ে ?
আরো পড়ুন:- খাবারের রুটিন কেমন হওয়া উচিত?
Dr S R Khan – Skin and Sex Physician MBBS (ShSMC)
এমবিবিএস (শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ) ঢাকা।
সাবেক মেডিকেল অফিসার ইবনে সিনা হসপিটাল ধানমন্ডি
সাবেক পিআরপি আইসিডিডিআরবির, মহাখালী, ঢাকা
বিএমডিসি রেজি ৯২১৯৩
চেম্বার :TestoLife Hospital
আরশিনগর বসিলা, মোহাম্মদপুর ঢাকা।