যৌন স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে খাবারের রুটিন কেমন হওয়া উচিত

খাবারের রুটিন কেমন হওয়া উচিত? – Dr S R Khan

যৌন স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে খাবারের রুটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পুষ্টিকর খাবার যেমন ফল, শাকসবজি, সম্পূর্ণ শস্য, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ, বাদাম, মদু , কালজিরা , তালমখনা ,এবং বীজ খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। পর্যাপ্ত পানি পান করা, সঠিক পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ, এবং অতিরিক্ত চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা যৌন স্বাস্থ্য বজায় রাখে। নিয়মিত ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুমের পাশাপাশি, সুষম খাদ্য রুটিন যৌন স্বাস্থ্যকে সঠিক রাখতে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।

যৌন স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে খাবারের রুটিন কেমন হওয়া উচিত

১. খালি পেটে লেবুর রস গরম পানি দিয়ে মিশিয়ে খাবেন। নাস্তার আগে আধা ঘণ্টা এক্সারসাইজ অনুশীলন করে নিবেন।

এরপর সকালে পর্যাপ্ত পরিমানে নাস্তা করবেন। সারাদিন ফুরফুরে থাকবে।সবচেয়ে বেশি জরুরি ফজরের নামাজ জামাআতের সাথে আদায় করা।

২.নাস্তার সাথে সবজি,ডিম রাখতে পারেন। এছাড়াও কোয়েকার খুবই ভালো ডায়েট এর জন্য।

৩.সারাদিনে ৩ রকমের ফল খাবেন। দেশি ফল হলেও চলবে এতে শরীরের ভিটামিন মিনারেল ঘাটতি মিটিয়ে দিবে।

৪.দুপুরের খাবারে ২ টা জিনিস বাধ্যতামুলক রাখবেন ডাউল আর শাক সবজি। অতিরিক্ত হিসাবে দেশি মাছ গোশত,ডিম।

৫.বিকেলে চিনি ছাড়া চা বা কফি,কিছু ফল,টক দই।

৬.এশার নামাজের আগে বা পরপর রাতের খাবার খাওয়া উত্তম। বেশি দেরি করা যাবে না। ঘুমানোর ৩-৪ ঘন্টা আগে খাবার শেষ করবেন। না হলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যা পরবর্তী তে ক্যান্সার করতে পারে। ভুলেও খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে যাবেননা।

৭.যেকোনো একটা ভিটামিন খেলে ভালো। যেমনঃ-জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম,আয়রন, ভিটামিন ই ইত্যাদি।

৮.ঘুমানোর আগে ওজু এবং দাঁত ব্রাশ জরুরী, সাথে ঘুমানোর দোআ, জিকির সম্ভব হলে মেডিটেশন সারাদিন কি কি ভালো কাজ করলেন তার জন্য শুকরিয়া, ভুল হলে রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা।

সপ্তাহে ২ দিন ( সোমবার, বৃহস্পতিবার নফল রোযা রাখা ভালো)।

যৌন স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে মিলনের পর কেন যে ব্যায়াম করতে হয়

এই বিষয়টা হয়তো অনেকেই জানেন না! অনেকসময় এমন হয় যে পাকপবিত্রের কাজ শেষ,ফরজ গোসলও হয়েছে। এরপরে পূনরায় প্রসাবের রাস্তা দিয়ে উত্তেজনা ছাড়াই বী-র্য আসতে শুরু করেছে। এছাড়াও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং সতর্ক থাকার পরেও প্রসাবের রাস্তায় ইনফেকশন হয়ে যাবার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। এসব কারনেই মিলনের পর ব্যায়াম করাটা অনেকাংশে জরুরী।

অনেক পুরুষেরই মিলন করার পর প্রসাবের রাস্তায় বী-র্য আটকে থাকতে পারে।সামান্য পরিমান বা বেশি। যেটা খানিকটা হাটাহাটি করা,কয়েকবার উঠবস করা,পেটের পেশীর ব্যায়াম করার মাধ্যমে বাইরে চলে আসে। ব্যায়ামের পর প্রসাব করে নিলে নিশ্চিন্ত থাকা যায়।

সুস্থতার জন্যই মিলনের পর ব্যায়াম এবং প্রসাব করে নেয়া জরুরী একটি কাজ।

সফল দাম্পত্য জীবনের মূল রহস্য কি?

স্বামী কে যথেষ্ট পরিমানে শ্রদ্ধ্যা করা। এই জায়গায় যথেষ্ট অবহেলা রয়েছে। খুব কম সংখ্যক স্ত্রী ই রয়েছে যে তার স্বামী কে প্রকাশ্যে গোপনে মনে প্রানে শ্রদ্ধ্যা করে, যথেষ্ট সম্মান দিয়ে কথা বলে।

স্ত্রী কে স্মরণ করতে হবে তার জীবনে কাকে বেশি শ্রদ্ধ্যা করার ইতিহাস রয়েছে তার নিজের পিতাকে,নাকি মা কে,না বড় ভাই যদিও তাও না হয় তাহলে তার প্রিয় শিক্ষক ইত্যাদি কেউ না কেউ তার জীবনে রয়েছে।

হাদিসে রয়েছে স্ত্রী কে যদি অন্য কাউকে সিজদা করার অনুমতি দেওয়া হতো তাহলে সেটা পেত তার আপন স্বামী।
একটু ভাবুন কতো বড় সম্মান গুরুত্ব ইসলাম দিয়েছে আর এটা নারীরা অবহেলা করছে আর সংসারে কলহ বেধেই চলেছে।

যদি কোন নারী কাউকেই ভালো মতো শ্রদ্ধ্যা সম্মান না করতে জানে তাহলে এই নারীর কাছ থেকে স্বামী অবহেলা অপমান ছাড়া কিছুই পাবেনা। দাম্পত্য জীবনে সুখি হওয়া প্রায় ই অসম্ভব যা হবে তা অভিনয়, দ্বায়সাড়া।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

কি খাবার খেলে হরমোন বাড়ে

কিছু খাবার শরীরে যৌন হরমোনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। অ্যাভোকাডো, বাদাম এবং জলপাই তেলের মতো স্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়া টেস্টোস্টেরন এবং ইস্ট্রোজেনের মতো হরমোনগুলির উত্পাদনকে উন্নীত করতে পারে। ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার, যেমন ফ্যাটি মাছ এবং ফ্ল্যাক্সসিড, হরমোনের ভারসাম্য সমর্থন করে। উপরন্তু, ডিম, চর্বিহীন মাংস এবং লেগুমের মতো প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা হরমোন সংশ্লেষণ এবং নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে ।

লিঙ্গের দৃঢ়তা বৃদ্ধির জন্য করনীয় কি?

১.নিয়মিত কেগেল এক্সারসাইজ অনুশীলন করুন। ১০ মিনিট করে।

২.গরম দুধের সাথে কাঁচা কুসুম মিশিয়ে খাবেন।

.জিনটেক্স ক্যাপসুল রাতে ১ টা করে ১ মাস।

টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার লক্ষণ

টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তন। শারীরিক লক্ষণগুলির মধ্যে থাকতে পারে ক্লান্তি, পেশীর দুর্বলতা, ওজন বৃদ্ধি, এবং যৌন আগ্রহের হ্রাস। মানসিক লক্ষণগুলির মধ্যে থাকতে পারে মনোযোগের অভাব, বিষণ্নতা, এবং মেজাজের পরিবর্তন। এই লক্ষণগুলি টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে হয়ে থাকে এবং এর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুন:- বাসর রাতে প্রথম মিলনে করণীয় কি?

আরো পড়ুন:- ফোরপ্লে করার সঠিক পদ্ধতি

আরো পড়ুন:- যেই ১০ টি কারণে আপনার যৌন শক্তি কমে যাচ্ছে

আরো পড়ুন:- পানির মতো পাতলা বীর্য! ঘন করবেন কিভাবে?

আরো পড়ুন:- দীর্ঘক্ষণ সহবাস করার উপায় কি

আরো পড়ুন:- দ্রুত বীর্যপাত থেকে মুক্তির ১০ টি কার্যকরী উপায়

আরো পড়ুন:- নিয়মিত সহবাস না করলে কি হয়?

আরো পড়ুন:- খেজুর কিভাবে খেলে যৌন শক্তি বাড়ে ?

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *