স্ত্রীকে খুশি করার উপায়

স্ত্রীকে খুশি করার উপায় এবং সংসারে অশান্তির কারণ!

১.তার সৌন্দর্যের প্রশংসা করুন। তাকে জানান তাকে আজ ভীষণ সুন্দর লাগছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মানুষ কে সবচেয়ে সুন্দর অবয়ব দিয়ে সৃষ্টি করেছে। অন্য নারী থেকে চক্ষু হিফাজতে রাখলে স্ত্রী কে সুন্দর লাগার কথা।

২.তাকে মাঝে মাঝে বলুন আপনি অনেক ভালোবাসেন।❣️

৩.তার হাতটি ধরে নিরিবিলি পরিবেশে হাঁটতে থাকুন।

৪.মাঝে মধ্যে দুই একটা রোমান্টিক কবিতা লেখুন না পারলে সংক্ষিপ্ত এসএমএস করে টেক্সট করুন, অনেক খুশি হবে।

স্ত্রীকে খুশি করার উপায়
স্ত্রীকে খুশি করার উপায়

৫.যখন স্ত্রী কথা বলবে তার কথাগুলো মনযোগ দিয়ে শুনুন এবং গুরুত্ব দিবেন।

৬.বিয়ের অতীত জীবন নিয়ে খোঁচাখোঁচি করবেন না।
পূর্বে কেউ জীবনে থাকলে বেশি ঘাটাঘাটি না করা।

৭.বিনা কারনে সন্দেহ করে নিজে মানসিক রোগী হবেন না।

৮.অবশ্যই তাকে মাঝেমধ্যে হাদিয়া, গিফট দিন,হাত খরচ আলাদা করে দিতে ভুলবেন না।

৯.অন্যনারীর সাথে তুলনা ভুলেও করা যাবেনা।

১০.তার পরিবারের সদস্য কে সম্মান, ভালোবাসা দেওয়ার চেষ্টা করুন।

১১.চুলগুলো সুন্দর, চোখ গুলো বেশি পছন্দের এতগুলো জানান।

১২.সুযোগ পেলে দূরে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাবেন, না পেলে কাছেই রিক্সা তে ঘুরুন।

১৩.নিজে একদিন রান্না করে সাপ্রাইজ দিন না পারলে চা বানিয়ে ট্রাই করবেন।

১৪.নামাজে আগে ডাকুন এবং তালিম করুন,তার জন্য বেশি বেশি দোআ করবেন।

১৫.নতুন কাপড়, গহনা পরিধান করলে সেগুলোতে ভালো মানিয়েছে সবার আগে আপনি বলুন।

১৬..খোটা বা আঘাত করে কথা বলা বন্ধ করুন।

১৭.বিশেষ দিন গুলো স্মরণে রাখুন এবং কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করুন।

সর্বশেষ বলবো ছোট খাট ভুল করলে ক্ষমা করে দিন, শেষ বয়সে স্ত্রী ছাড়া আপনার ভালো বন্ধু কেউ ই পাশে থাকবে না।
আপনার বকবক গুলো তাকেই শুনতে হবে।

সংসারে সুখ শান্তি না আসার কিছু কারণ

১.স্বামী যদি স্ত্রীর কথায় উঠেবসে, স্ত্রী যা বলে স্বামী তাই ই করে।স্বামীর সিদ্ধান্ত, ইচ্ছার মৃত্যু হলে!

২.যার স্ত্রী বেহায়া, নির্লজ্জ, পরপুরুষের সামনে খোশগল্প করে।

৩.স্বামী যদি পর নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক রাখে বা সময় পাস করে

৪.অন্য পুরুষের স্ত্রীর দিকে কুনজর দেওয়া

৫.নিজের স্বামীর তুলনায় অন্য পুরুষ কে বেশি যোগ্য মনে করা

৬.যে নারী সংসারে সর্বদা এটা চায় ওটা চায় বাইনা করে!

৭.নিজের স্বামীর দোষ না থাকলেও অবিশ্বাস করে

৮.স্ত্রীকে খুশি করার জন্য স্বামী যখন নিজের মায়ের চোখের পানি ঝরায় বিনা কারনে সে সংসারে কোন বরকত থাকেনা।

৯.উদাসীন সে অভিভাবক যে নিজের ছেলে মেয়ের বিয়ের বয়স হলেও বিয়ে দিতে রাজি না

১০.লজ্জাহীন নারীর কোন সৌন্দর্য কাজে আসেনা।

১১.পর পুরুষ কে দেখানোর জন্য সাজ সজ্জা কারি নারী

১২.যৌতুক নিয়ে বিয়ে এবং স্ত্রীর মোহর আদায় না করলে

১৩. স্ত্রী থাকা সত্বেও পর নারীর সাথে মিলন করলে, এরা বেশি হতভাগা!

১৪. স্ত্রীর রোজগারের উপর নির্ভরশীল পুরুষ

১৫. যে পুরুষ হয়েও নারীর মতো আচরণ এবং যে নারীর পুরুষের মতো স্বভাব সূলভ আচরণ সেখানে সুখ শান্তি চিরকাল অ ধরাই থেকে যায়।

উপসংহার

বিয়ের পরে ভালো করে নিবেন,তাকে পর্দা করাবেন,নামাজ পড়াবেন এই আশায় না থেকে যদি আপনি দ্বীনদার হোন তবে আপনার মতোই কাউকে বিয়ে করুন।

স্বামী হিসেবে স্ত্রীকে নতুন করে পর্দায় আনা,দ্বীন মেনে চলতে বাধ্য করা,নামাজ রোযা ফরজ ইবাদাতে নিয়মিত করা কিন্তু বেশ কঠিন। কেননা আপনি চাইলেই কাউকে হেদায়েত দিতে পারবেন না যদিনা আল্লাহ তাআলা চান।

অন্যদিকে অধিনস্থদের দোষ ত্রুটি দেখেও না দেখার ভান করলে গুনাহ পুরুষদেরই হয়।পিতা,স্বামী,বড় ভাই,বড় ছেলে হিসেবে জন্ম নিয়েছেন মানেই আপনি কারো অভিভাবক। চোখের সামনে আমাদের মহিলারা গুনাহ করলে তার ভাগীদার আমরাও সমানভাবেই হবো।

এজন্য বিয়ে করুন কুফু মেনে,পছন্দ করুন আখলাক দেখে। রূপ লাবন্য যৌবন আমলনামায় যুক্ত হয়না।

আরো পড়ুন:- যেই ১০ টি কারণে আপনার যৌন শক্তি কমে যাচ্ছে

আরো পড়ুন:- পানির মতো পাতলা বীর্য! ঘন করবেন কিভাবে?

আরো পড়ুন:- ফোরপ্লে করার সঠিক পদ্ধতি

আরো পড়ুন:- দীর্ঘক্ষণ সহবাস করার উপায় কি

আরো পড়ুন:- বাসর রাতে প্রথম মিলনে করণীয় কি?

আরো পড়ুন:- দ্রুত বীর্যপাত থেকে মুক্তির ১০ টি কার্যকরী উপায়

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *