অতিরিক্ত কাম বাসনার কুফল

অতিরিক্ত কাম বাসনার কুফল – সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

যাদের যৌন উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তাদের এই সমস্যাগুলোকে হাইপারসেক্সুয়ালিটি বা কম্পালসিভ সেক্সুয়াল বিহ্যাভিয়ুর বলে।

এটার আরও কয়েকটি নাম ও রয়েছে যেগুলোর সাথে পরিচিত হলে পরবর্তীতে কাজে লাগতে পারে যেমন যৌন নেশা বা সেক্সুয়াল এডিকশন,সেক্সুয়লা আর্জ,এক্টেসি ইত্যাদি।

অধিক মাত্রার সেক্স হরমোন টেস্টোস্টেরন এবং মানসিক সমস্যা বা উগ্রমেজাজ অনেকটা এর জন্য দ্বায়ী।

এই অতিরিক্ত কামভাব নারী পুরুষ উভয়ের ই হতে পারে।
এটা বিবাহিতদের কমন সমস্যা না হলেও কেউ কেউ এটা নিয়ে দীর্ঘদিন ভুগতে থাকে বিশেষ করে স্বামীর বেশি কামভাব অনেক স্ত্রীর জন্য কঠিন হয়ে যায় আবার অনেক নারীর এত কামভাব থাকে যেটা স্বামীর পক্ষে সহজেই চাহিদা পূরণ করা মুশকিল হয়ে যায়।

অবিবাহিত বা বিবাহিত নারী পুরুষ এটা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন গোনাহের কাজে লিপ্ত হয় যেমন পর্ণসিনেমা, হস্তমৈথুন, বিকৃত যৌনচার,সমকামিতা, পতিতালয়ে গমন, ইত্যাদি।

এটা কখনো স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক নষ্ট করে দেয় আবার কখনো দূরত্ব তৈরি করে,ভুলবোঝাবুঝি সৃষ্টি হওয়া ইত্যাদি তৈরি করে।

আরো পড়ুন:- যেই ১০ টি কারণে আপনার যৌন শক্তি কমে যাচ্ছে

আরো পড়ুন:- পানির মতো পাতলা বীর্য! ঘন করবেন কিভাবে?

অতিরিক্ত কাম বাসনার কুফল
অতিরিক্ত কাম বাসনার কুফল

অতিরিক্ত কাম বাসনার ফলে কিছু লক্ষন দেখা যায়

১.সবসময় যৌন কল্পনায় বুদ বা বিভোর থাকে। যৌন কথা, আলোচনা, দেখা, কাজ ইত্যাদি বেশি উপভোগ করে।

২.একের অধিক হস্তমৈথুন বা মিলন অনবরত করতেই থাকে, মনে হয় তাদের ক্লান্তির লেশ মাত্র দেখা মিলেনা।

৩.অতিরিক্ত কামভাব বিপথে পরিচালনা করে হঠাৎ একদিন যৌন অক্ষম হিসেবে নিজেকে হাজির করে আর আপছোচ করতে থাকে।

৪.বিকৃত বা যতো ধরনের উল্টোপাল্টা পদ্ধতি আছে সবগুলো প্রয়োগ কর,হাতের কাছে যা ঔষধ থাকে সবই খেতে চিন্তা করেনা এমন কি রাস্তাঘাটের নামে বেনামে যৌন উত্তেজক ঔষধ মনে করে সেবন করে।

৫.এরা পার্টনার কে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে,যিনা ব্যভিচার, পরকীয়া বেশি দেখা যায়, লজ্জা প্রায় শূন্যের কোটায়,তবে কিছু ক্ষেত্রে চুপচাপ স্বভাবের নারী পুরুষের মাঝেও কল্পনার বাইরে যৌন উত্তেজনা চলে যেতে পারে যেটা পরিবার বা বন্ধুরাও কল্পনা না করে না,এরা অনেকটা ইন্ট্রোভার্ট টাইপের হয়ে থাকে।

৬.কিছু মানসিক রোগী ও মাদকাসক্তদের মাঝে অতিরিক্ত যৌন উত্তেজনা প্রায় দেখা মিলে।

৭.বুঝতে পারে এটা খারাপ তবে নিজেকে শুধরাতে ও ব্যর্থ হয়।

৮.দুই জনের মধ্যে প্রায় ই ছোট খাট বিষয়ে ঝগড়া বিবাদ হয়ে থাকে।

সমাধান ও করনীয় বিষয় সামনের দিনে আলোচনা করবো
তবে একটা কথা বলে শেষ করবো রোযা রাখলে এটা নিয়ন্ত্রণ অনেকটা সহজ হয়ে যায়।
কম থাকলেও সমস্যা বেশি থাকলেও সমস্যা।বুদ্ধিমান তো সেই সঠিক সময়ে সঠিকভাবে ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে পারে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

লিঙ্গের শীতলতা কয় ধরনের?

উঃ দুইধরনের
প্রাইমারি ( জীবনের শুরুতে)

সেকেন্ডারি বা টেম্পোরারি
কোন এক সময় হয়েছে।

মানসিক দুশ্চিন্তার কারণে কি এমন হয়?

উঃ জি

কোন যৌন হরমোন লিঙ্গের উথানে ভূমিকা রাখে?

উঃ টেস্টোস্টেরন

কোন এক্সারসাইজ নিয়মিত অনুশীলন করলে লিঙ্গের শীতলতা দূর হয়?

উঃ কেগেল এক্সারসাইজ।

কোন কোন খাবারে লিঙ্গের দৃঢ়তা ফিরে আসে?

উঃ ডিম, দুধ,গরুর গোশত,ওটস ইত্যাদি

মিলনের কতক্ষণ পর লিঙ্গ শক্ত হয়?

উঃ ঠিক নেই। একএক জনের একএক রকম।
তবে কারও কারও ২ ঘন্টা আবার কারও ১০ মিনিট আবার কারও দুইদিন ও লাগতে পারে।

সহবাসের মাঝখানে লিঙ্গ শীতল হয়ে যায় এটা কি বড় ধরনের অসুখ?

উঃ না।

আগের মতো লিঙ্গ শক্ত হয়না?

উঃ জি বয়ঃসন্ধি কালে বেশি ই শক্ত হয় আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে বা যখন প্রয়োজন তখন শক্ত হয়।

হস্তমৈথুন পর্ণসিনেমা দেখার কারনে কি লিঙ্গ নরম হ’য়ে যায়?

উঃ অতিরিক্ত হস্তমৈথুন এবং অতিরিক্ত পর্ণ সিনেমা দেখলে এমন হতে পারে।

যৌন ঔষধের সাইড ইফেক্টে কি লিঙ্গ নরম হ’য়ে যায়?

উঃ জি কখনও কখনও এমন হয়। তবে এটা ঔষধ বন্ধ করলে ধীরে ধীরে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে।

লিঙ্গ কয়েক সেকেন্ড পর আবার নরম হয়ে যায় করনীয় কি?

উঃ অবিবাহিত হলে ভয়ের কিছু নেই। বিবাহিত হলে মিলন করতে অসুবিধা হলে চিকিৎসা নেওয়া উত্তম।

সকালে ঘুম থেকে উঠলে লিঙ্গ শক্ত হয়ে যায় এটা কি খারাপ?

উঃ খারাপ না।এটা অনেকেরই এমন হয় যেটাকে মর্নিং ইরেকশন বলে। সকালে যৌন হরমোন টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা রক্তে বেশি থাকে।

আরো পড়ুন:- ফোরপ্লে করার সঠিক পদ্ধতি

আরো পড়ুন:- দীর্ঘক্ষণ সহবাস করার উপায় কি

আরো পড়ুন:- বাসর রাতে প্রথম মিলনে করণীয় কি?

আরো পড়ুন:- দ্রুত বীর্যপাত থেকে মুক্তির ১০ টি কার্যকরী উপায়

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *