লেট ম্যারেজ এর কুফল

লেট ম্যারেজ এর কুফল – ডা. এস আর

যতো সময় যাচ্ছে মানুষের মধ্যে দেরী করে বিয়ে করার প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা অনেকেই ফ্যাশন হিসাবে নিচ্ছে আবার অনেকে দেরিতে বিয়ে করতে বাধ্য হচ্ছে।


পড়াশোনা শেষ করে ভালো একটা চাকুরি,বাড়ির কাজ,কিছু নগদ টাকা জমানো,অবিবাহিত বোনের বিয়ে ইত্যাদি করতে করতে বিয়ের বেলা পড়ে যায়। যৌবনের সেই জৌলুশ আর থাকেনা।

পুরুষ আর সংসারে মনযোগী হতে চায়,আবেগ কমতে থাকে,তারুণ্য বোধ হারিয়ে যায়,সোনালী দিন গুলো সব অতীতের খাতায় নাম লিখিয়ে কল্পনায় ভাসে আর বউয়ের বয়স কম হলে বিশেষ করে স্কুল কলেজ পড়ুয়া হলে তার সাথে তাল মিলিয়ে খুনসুটি করতে মনথেকে অনেকেরই ভালো লাগেনা।যা কিছু হয় অনেকটাই অভিনয় আর ন্যাকামো।

মনমানসিকতার পার্থক্য, আচরনগত ভিন্নতা, সিনেমার জগৎ এর মতো কোন কিছু না পাওয়া বরং সংসার নামক কঠিন যুদ্ধে প্রতিনিয়ত স্বামী কিংবা স্ত্রীর দুপাশের মানুষগুলোর সন্তুষ্টি আর সামাজিকতা রক্ষা করতে করতে অনেক দম্পতি বেশ হাঁপিয়ে ওঠে।

অনেকের ই রঙিন চশমা খুলতে দেরি হয়ে যায়, বাস্তবতার দূর্বিঃসহ জীবন নিতে পারেনা।
স্বাধীন, একা ফেলে আসা জীবন মিস করে,কেউ পরিবারের দিকে চেয়ে, মান সম্মানের কথা ভেবে সংসার নামক জগৎ অভিনয় করে যায়,কেউ নফসের ধোঁকায় গোনাহে লিপ্ত হয়ে সুখ খুঁজে, সেও ব্যর্থ হয়,কেউ বিচ্ছেদ করে নতুন কারও কাছে ফিরে যায়।

আরো পড়ুন:- যেই ১০ টি কারণে আপনার যৌন শক্তি কমে যাচ্ছে

আরো পড়ুন:- পানির মতো পাতলা বীর্য! ঘন করবেন কিভাবে?

লেট ম্যারেজ,স্ত্রীর উপর স্বামীর হক

লেট ম্যারেজ থেকে বাঁচতে করনীয় কি?

১.যৌবনের শুরুতে দোআ করুন বালেগ হওয়ার পর পর ই বিয়ের সুযোগ থাকলে মিস করবেন না।

২. যেই পরিবার সন্তানদের সময়মতো বিয়ে দেয় সে পরিবারের সন্তানেরা সত্যিকার অর্থেই সৌভাগ্যবান।

৩.একদিন অনেক টাকা হবে,গাড়ি হবে,বাড়ি হবে তারপর বিয়ে এসব ধোঁকা আর বোকামি।

৪.চাহিদা কমিয়ে বিয়ে করলে সহজে বিয়ে হয়ে যাবে।

৫.দেরিতে বিয়ে করলে সন্তান হতেও দেরি হবে,ঠিকমতো লালন পালন করা যায় না আবার অনেকেরই নাবালেগ সন্তান রেখেই মৃত্যুবরন করতে হয়।

৬.যৌবনকাল কে ফিরিয়ে আনা যায় না, ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

৭.সময়মতো বিয়ে করলে অনেক গোনাহ থেকে বেঁচে যাবেন।

৮.যারা বিয়ে না করে অবাধ মেলামেশা করছে তারা শতভাগ এর নেগেটিভ ফলাফল পাচ্ছে এবং পাবে।
আপনি যদি আল্লাহর ভয়ে এগুলো থেকে বিরত থাকতে পারেন দুনিয়া আখেরাতে কামিয়াব বা সফল হবেন ইনশাআল্লাহ।

স্ত্রীর উপর স্বামীর হক সমূহঃ-

১. প্রত্যেক জায়েজ কাজে স্বামীর আনুগত্য করা।

২.স্বামীর সামর্থের চেয়ে বেশি ভরণ পোষণ দাবি না করা।অল্পে সন্তুষ্ট হলে সুখ শান্তি অনাবিল দৌড়ে আসবে।

৩.স্বামীর অনুমতি ব্যতিত কাউকে ঘরে আসতে না দেওয়া।

৪.পর পুরুষের সাথে নমনীয় সুরে কথা না বলা।

৫.স্বামীর অনুমতি ব্যতিত স্বামীর টাকা পয়সা, মাল পত্র থেকে কাউকে কিছু না দেওয়া।

৬. স্বামীর অনুমতি ব্যতিত ঘর থেকে বাইরে না হওয়া।

৭.স্বামীর অনুমতি ব্যতিত নফল রোযা না রাখা,বিশেষ করে একসাথে থাকাকালিন।

৮. স্বামী সহ-;বাসে আহ্বান করলে শরীয়তের ওজর ছাড়া অস্বীকার না করা।

৯.স্বামীর আর্থিক দূর্বলতার কারনে বা চেহারা সূরত সুদর্শন না হলেও স্বামী কে তুচ্ছ, অবহেলা, ঘৃনা না করা।

১০.স্বামীর শরীয়ত বিরোধী কাজে আদবের সহিত নিষেধ করা।

১১.মানুষের সামনে স্বামীর দোষ ত্রুটি না বলা।

১২.স্বামীর সম্মুখে মুখ খারাপ না করা, স্বামীকে মন্দ কথা না বলা।

১৪.স্বামীর বাপ মাকে নিজের শ্রদ্ধেয় মুরব্বি মনে করে তাদের খেদমত করা,সম্মান করা,তাদের সাথে ঝগড়া না করা,তাদেরকে কোন কষ্ট না দেওয়া।

উপসংহার

পরিশেষে একটি কথা থাকবে আপনি দেরিতে বিয়ে করেন বা আগে করেন না কেন আপনার স্ত্রীর হক সমূহ সঠিকভাবে আদায় করতে হবে। তাহলে শুধুমাত্র আমাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হবে। তবে চেষ্টা করবেন সবসময় একটু তাড়াতাড়ি বিয়ে করার জন্য এবং এমন একটি মেয়েকে বিয়ে করবেন যার চাহিদা কম থাকবে আপনার অল্প ইনকামে যেন সে খুশি থাকবে। দ্বীনদারিতা থাকলে আপনার জন্য অনেক ভালো এ বিষয়গুলো দেখে যদি আপনি বিয়ে করতে পারেন তাহলে আপনার দাম্পত্য জীবন সুখের হবে ইনশাআল্লাহ।

আরো পড়ুন:- ফোরপ্লে করার সঠিক পদ্ধতি

আরো পড়ুন:- দীর্ঘক্ষণ সহবাস করার উপায় কি

আরো পড়ুন:- বাসর রাতে প্রথম মিলনে করণীয় কি?

আরো পড়ুন:- দ্রুত বীর্যপাত থেকে মুক্তির ১০ টি কার্যকরী উপায়

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *