যৌন জীবনে নারী কি প্রত্যাশা করে

যৌন জীবনে নারী কি প্রত্যাশা করে? – ডা. এস আর খান

যৌন জীবনে নারীরা সাধারণত স্নেহ, সম্মান, এবং সংবেদনশীলতা প্রত্যাশা করে। তারা সম্পর্কের মধ্যে বোঝাপড়া, আন্তরিকতা, এবং মানসিক সংযোগ চায়। যৌনতার সময় নারীরা নিরাপত্তা, আরাম, এবং তাদের চাহিদা ও ইচ্ছার প্রতি যত্নশীল আচরণ কামনা করে। উত্তম যৌন জীবন প্রতিষ্ঠায় পারস্পরিক সম্মান ও যোগাযোগের গুরুত্ব অপরিসীম।

বিয়ে হচ্ছে সুন্দর স্বপ্ন। ছোট বেলা থেকেই স্বপ্নের রাজকুমার কে নিয়ে নারী স্বপ্ন বুনতে থাকে। একদিন তার স্বপ্নের পুরুষের সাথে দেখা হবে,বিয়ে তার বৈধ শারীরিক চাহিদা পূরণের সব রাস্তা খুলে দিবে।

ছোট বেলা থেকে পরিবার, সমাজ, সংস্কৃতি,মিডিয়া, বান্ধবী, আত্মীয়স্বজনের বিয়ে দেখে, কারও সুখের দাম্পত্য জীবন দেখে নিজের স্বপ্ন ও বুনতে থাকে আর স্বপ্নের নায়ক কে নিয়ে ভাবতে থাকে।

এই স্বপ্নের শতভাগ বেশিরভাগ নারীর ই পূরন হয়না। কারও নব্বই আবার কারো আশি,পঞ্চাশ,কারো দশ আবার কারো ক্ষেত্রে শূন্য।কারো ক্ষেত্রে তো নেগেটিভ ই থেকে যায়।


নিষ্ঠুর জীবন, চরম বাস্তবতার কাছে হার মেনে যায়। কারো কারো অনেক কষ্টের মাঝে হাসি ফুটে ওঠে, আবার কেউ সারা জীবন ই কাঁদতে থাকে।

যৌন জীবনে নারীর স্বপ্ন হলো কি ?


-ভালো ক্যারিয়ার।
-সুদর্শন স্বামী।
-নিজের মনের মতো সুন্দর সংসার।
-আর্থিক অভাব না থাকা।
-বিয়ের পর যৌন পরিপূর্ণ তৃপ্তি লাভ করা।
-সুন্দর চরিত্রবান সন্তান লাভ করা।
-দাম্পত্য জীবনে কলহ সৃষ্টি না হওয়া।
-তৃতীয় পক্ষের দেখা না পাওয়া।
-অসুখ বিসুখ থেকে বেঁচে থাকা ইত্যাদি।

যৌন জীবনে বাঁধা কি?


-ভালো পরিবেশ না পাওয়া।
-স্বামীর চরম পর্যায়ের দূর্বলতা।
-স্বামীর যৌন মিলন সম্পর্কে অজ্ঞ বা উদাসীন থাকা।
-স্ত্রীর অর্গাজম দীর্ঘদিন না হওয়া।
-স্ত্রীর বা স্বামীর বিয়ের আগে খারাপ অতীত থাকা আর সেটা বর্তমানেও নেগেটিভ প্রভাব বিস্তার করা।

কেন নারী যৌন জীবনে সুখি হচ্ছে না?

১.অতিরিক্ত প্রত্যাশা।
২.বিয়ের আগে অন্যপুরুষের সাথে অবাধ মেলামেশা করা।
৩.পর্ণ বা বান্ধবীর মুখরোচক গল্প শুনে স্বামীর কাছে অনেক বেশি আশাকরা।
৪.প্রতিবেশি বা পরিচিত মানুষের আর্থিক অবস্থা দেখে নিজের স্বামীর সাথে তুলনা করা।
৫.অতীত যৌন অপকর্মে জড়িত থাকলে অনেকেই বিয়ের পর সুখ উপভোগ করতে হিমশিম খেতে হয়।

করনীয় কি ?


১.বিয়ের আগে স্বামীর চরিত্র দেখে বিবাহ করা এবং কুফু মেইনটেইন করা।
২.লিঙ্গের সাইজ ছোট, মিলনে সময় কম দেখে হতাশ না হওয়া,এটা দিয়ে কিভাবে সুখি হওয়া যায় তার চেষ্টা করা।
৩.বান্ধবী বা কারও মুখরোচক গল্প শুনে হতাশ না হওয়া।
৪. বিয়ের আগে নিজের চরিত্র কে স্বামীর জন্য সুরক্ষিত রাখা।
৫.নিজের উত্তেজনা কে নিয়ন্ত্রণে রাখা।
৬. ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা।
৭. কোন সমস্যা থাকলে হুট করে হৈচৈ না করা,ডিভোর্স না দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।

স্ত্রীর সাথে স্বামীর আচরণ কেমন হওয়া প্রয়োজন

১.পরষ্পরের মধ্যে সালাম বিনিময় করা এতে করে মোহাব্বত বৃদ্ধি পায়।

২.স্ত্রীর কাছে বিশেষ প্রয়োজনে যেতে চাইলেও অনুমতি নেওয়া উত্তম।

৩.স্ত্রীর সাথে হাসি মুখে কথা বলা এবং সবসময় উত্তম আচরনের চেষ্টা করা।

৪.দুনিয়াতে স্ত্রীর থেকে ভালো বন্ধু কেউ আর নেই।তার সাথেই যাবতীয় মনের কথা শেয়ার করুন। তাকে বন্ধু বানিয়ে নিন।

৫.স্ত্রীর সাথে দুঃখ ভাগ করলে কমে যাবে আর আনন্দ ভাগ করলে বৃদ্ধি পাবে।

৬.সর্বদা স্ত্রীকে আগলে, যত্নে রাখবেন,কোন ভুল করলে উত্তম পন্থায় শিখিয়ে দিবেন।

৭.স্ত্রীর পছন্দনীয় খাবার, উপহার, চকলেট, ফুল দেওয়ার চেষ্টা করা ভালো।

৮.স্ত্রীরা অভিমান করবে আর স্বামীর কাজ হলো অভিমান ভাঙানো।

৯.রাগ করবেন না আর ভুলেও স্ত্রীর সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হবেন না।এটা করলে শয়তান খুশি হয়।

১১.স্ত্রীকে হাতখরচ, ভরনপোষন দিতে কার্পন্য করবেন না।

১২.মাঝে মধ্যে ঘুরতে নিয়ে যাবেন।

১৩.অতীত জীবন নিয়ে খোটা না দেওয়া।

১৪.স্ত্রীর মুখে এক লোকমা খাবার দিলেও তা সাদাকাহ হবে এবং এতে স্বামীর নেক আমলই ভারী হয়।

১৫.স্ত্রীকে পর্দায় রাখুন এবং বেপর্দায় চলতে নিষেধ করুন।সংসারে তৃতীয় ব্যক্তি থেকে সাবধান থাকুন।

১৬.সে পুরুষই উত্তম যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম।

আরো পড়ুন:- ফোরপ্লে করার সঠিক পদ্ধতি

আরো পড়ুন:- দীর্ঘক্ষণ সহবাস করার উপায় কি

আরো পড়ুন:- বাসর রাতে প্রথম মিলনে করণীয় কি?

আরো পড়ুন:- দ্রুত বীর্যপাত থেকে মুক্তির ১০ টি কার্যকরী উপায়

আরো পড়ুন:- যেই ১০ টি কারণে আপনার যৌন শক্তি কমে যাচ্ছে

আরো পড়ুন:- পানির মতো পাতলা বীর্য! ঘন করবেন কিভাবে?

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *