বাসর রাতে প্রথম মিলনে করণীয়

বাসর রাতে প্রথম মিলনে করণীয় কি?

জরুরী নয় যে প্রথম রাতেই আপনাকে কাছাকাছি আসতে হবে। তবে অনেক নারী পুরুষ লাজুকতা বা জড়তার কারনে একত্রিত হতে পারেনা বা কিভাবে শুরু করতে হবে সেটা বুঝে উঠতে পারেনা।

এমন কিছু রোগী পেয়েছি যারা ২-৩ মাস সময় পার করে দিয়েছে। স্ত্রী তার মা,নানী,দাদির কাছে নালিশ করেছে বা তারা নিজেরা জিজ্ঞেস করেছে তোমাদের মধ্যে সম্পর্ক কেমন চলছে? স্ত্রী সরলমনে সবটা বলে দেয় এরপর বিচ্ছেদ পর্যন্তও বিষয়টা গড়িয়ে যায়!

এই বিষয়টা ব্যক্তি, পরিবার ভেদে ভিন্ন আচরণ করে। কেউ কেউ ভদ্রভাবে নাজুক পরিস্থিতি কে সামলে সুখের সংসার করে আবার অনেকেই তিল কে তাল করে সংসারের ইতি টানে মানে বিবাহ বিচ্ছেদ সালিশ, জরিমানা ইত্যাদি ঘটনা ঘটে এমনকি নারী পুরুষ সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়,নিঃস্ব হয়ে যায়।

বাসর রাতে প্রথম মিলনে করণীয়
বাসর রাতে প্রথম মিলনে করণীয়

বাসর রাতে প্রথম মিলনে করণীয়?


১.ঝোপ বুঝে কোপ মারা মানে সুযোগ বুঝে একত্রিত হওয়া।খুব বেশি তাড়াহুড়ো কিংবা একদম ধীরস্থির হওয়া অনুচিত!

২.কিছু জিনিস বলে কয়ে হয়না সেটা আপনা আপনি হয়ে যায়।

৩.পুরুষের পুরুষত্ব তো তার হক আদায় করে নিবে নারীর লাজুকতা কিছুটা বাঁধা দিলেও সেটা কে পরোক্ষভাবে মেনে নিয়ে পুরুষকে সহযোগিতা করে।

৩.অতিরিক্ত কড়া আদেশ শাসন এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

আরো পড়ুন:- যেই ১০ টি কারণে আপনার যৌন শক্তি কমে যাচ্ছে

আরো পড়ুন:- পিকিং মেথড কি

৪.অতিরিক্ত ভ-য়, লাজুকতা ত্যাগ করে রোমান্টিকতা উত্তম।

৫.অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধের কারনে ঘুমিয়ে না পড়া॥

৬.রাতটা কে স্মরণীয় করে রাখা।

৭.আপনার প্রথম মুহূর্তগুলো যেন পবিত্র হয় এটা শতভাগ নিশ্চিত করা( অনেকেই নিজেদেরকে বিয়ের আগেই অপবিত্র করে রাখে তারা কখনোই এই বাসর রাতের পরিপূর্ণ তৃপ্তি পাবেনা।)

৮. সামর্থ্য অনুযায়ী পরষ্পরকে কিছু হাদিয়া দেওয়া।

৯.ভুলেও ঝগড়া মারামারি করবেন না।

১০. প্রথম সাক্ষাৎ যতো সুন্দর হবে আশাকরি সারাজীবন ততোসুন্দর হবে।শুরুটা খারাপ হলে এর ধকল পদে পদে পড়তে থাকবে।

১১.প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ইত্যাদি আগে থেকে হাতের কাছে রাখা।

১২.জোড় জবরদস্তি না করা।

১৩. আদব কায়দা ঠিক রাখা।

১৪.রুমের পরিবেশ যতোটা সম্ভব নিরিবিলি, নির্জন রাখা।

১৫.আরামদায়ক পোশাক পরিধান করা।

১৬.অতিরিক্ত মেকআপ, ঘষাঘষি এড়িয়ে চলা।

১৭.নফল নামাজ,দোআ দিয়ে পবিত্র জীবন শুরু করা।

যদি আপনি এখন বিবাহিত হয়ে থাকেন তবে সমস্যা কি? বিবাহিত জীবনের প্রতিটা রাতই সুন্দর, উচিত হবে কোন ভুল থাকলে শুধরে নেওয়া,গুনাহ থাকলে তওবা করা।

আরো পড়ুন:- ফোরপ্লে করার সঠিক পদ্ধতি

আরো পড়ুন:- দীর্ঘক্ষণ সহবাস করার উপায় কি

আরো পড়ুন:- দ্রুত বীর্যপাত থেকে মুক্তির ১০ টি কার্যকরী উপায়

আরো পড়ুন:- মাল্টি অর্গাজম কি

জৈনিক আরব বলে যেই ছয় প্রকার নারীকে বিবাহ করলে আপনি সুখী হতে পারবেন না।

আন্নানা

এটা সেই নারীকে বলা হয় যে সর্বদা কাতরায় ও হায় হায় আফসোস করতে থাকে এবং রোগীনি হয়ে থাকে।
এসব নারী বিয়ে করাই কোন বরকত নেই।

মান্নানা

সেই নারীকে বলা হয় যে স্বামী কে সর্বদা খোটা দেয়,যে স্বামীর প্রতি প্রায়ই অনুগ্রহ প্রকাশ করে বলে, আমি তোমার জন্য এই করেছি, সেই করেছি ইত্যাদি ইত্যাদি অভিযোগ।

হান্নানা

সেই নারীকে যে তার পূর্বের স্বামী বা প্রাক্তন কাউকে ভুলতে পারেনা অথবা তার পূর্বের সন্তান স্বামীর সাথে বর্তমান স্বামীকে তুলনা করে খোটা দেয় ইত্যাদি।

হাদ্দাকা

সেই নারীকে বলা হয় যে সবকিছুর উপর ই লোভ প্রকাশ করে এবং সবকিছু একাই পেতে চায়।
এর পর সবকিছু ক্রয় জন্য স্বামীকে মানসিক ভাবে চাপ দিতে থাকে।

বাররাক

যে নারী কেবল সারাদিন সাজসজ্জা নিয়ে পরে থাকে,খেতে বসে রাগ করে, একাই খায়।
প্রত্যেক বস্তু থেকে নিজের অংশ আলাদা করে থাকে।

শাদ্দাকা

সেই নারীকে বলে, যে খুব বকবক করে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *