পানির মতো পাতলা বীর্য

পানির মতো পাতলা বীর্য! ঘন করবেন কিভাবে? – ডা. এস আর খান

যৌন মিলনের শুরুতে বা যৌন উত্তেজনায় লিঙ্গের মাথায় পিচ্ছিল জাতীয় পদার্থ বের হয় আর এটা যৌন মিলন কে সুগম করার জন্য। এতে কোন শুক্রানু থাকে না। এটা আসে পুরুষের প্রস্টেট নামক গ্রন্থি বা গ্লান্ড থেকে সাথে যোগ হয় কাউপার নামক গ্রন্থি, সিমেন থলির কিছু মিউকাস জাতীয় পদার্থ।

বীর্য বা সিমেন বা পুরুষের যৌন নির্যাস এতে কি কি উপাদান আছে?

১) পানি
২) প্রোটিন
৩) ভিটামিন ও মিনারেল
৪) গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ
৫) মিউকাস জাতীয় পদার্থ
৬) শুক্রানু( আসল জিনিস)

যখন বীর্য বের হয় উপরের সবগুলো জিনিস বিভিন্ন জায়গা থেকে বীর্য থলিতে এসে জমা হয়,আর শুক্রানু আসে টেস্টিস থেকে।চরমমূহুতর্তে বীর্য বের হয়।

আরো পড়ুন:- যেই ১০ টি কারণে আপনার যৌন শক্তি কমে যাচ্ছে

পানির মতো পাতলা বীর্য,বীর্য ঘন করবেন কিভাবে,পাতলা বীর্য
পানির মতো পাতলা বীর্য! ঘন করবেন কিভাবে

পানির মতো পাতলা বীর্য হয় কেন?

কয়েকটি কারনে বীর্য পাতলা হয়। নীচে আলোচনা করা হলো:-

১। পানির মাত্রা বেশি হলে।

২। বার বার সহবাস করলে।

৩। জিঙ্কের অভাবে।

৪। শুক্রানুর পরিমাণ অনেক কম হলে।

৫। সেক্স হরমোন লেবেল কমে গেলে

৬। পুষ্টির অভাব

৬। ইনফেকশন থাকলে

৭। যৌন ব্যয়াম না করলে, অতিরিক্ত ওজন।

৮। অতিরিক্ত বীর্য ক্ষয় হলে।

পুরুষের বীর্য পাতলা হলে বাচ্চা হবে কি?

ছেলেদের হরমোন পাতলা হলে বাচ্চা হওয়ার সম্বাবনা কম থাকে! কারণ পরুষের হরমোন পাতলা হলে শুক্রাণুর সংখ্যা এবং গুণমান অনেকটাই কমে যায়। যার ফলে যার ফলে শুক্রাণু কমে যায় এবং মহিলাদের ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করার সম্বাবনা অনেকটাই কমে যায় ।

শুক্রাণু ডিম্বানুকে নিষিক্ত করতে সক্ষম হলেও অনেক সময় ভ্রূণ তৈরিতে সমস্যা হতে পারে তাই আমাদের উচিত আমাদের বীর্য ঘন করে বা বীর্যের গুনগতমন ঠিক করে বাচ্চা নেওয়ার চেষ্টা করা। তাহলে আপনারা সন্তান পতিবন্দী বা বান্দা হওয়া থেকে রক্ষা পাবেন ইনশাল্লাহ ।

বীর্য ঘন করলে সুবিধা কি?

১। শুক্রানু পুষ্টি পাবে।বন্ধ্যাত্ব দূর হবে।

২। সহবাসের সময় বৃদ্ধি পাবে।

৩। পুরুষ বেশি আনন্দ পাবে বীর্যপাতের সময়।

৪। শারীরিক মানসিক ভাবে উৎফুল্ল বোধ হবে।দূর্বল লাগবে না, যৌন মিলনের পর।

আরো পড়ুন:- পিকিং মেথড কি

পানির মতো পাতলা বীর্য ! ঘন করবেন কিভাবে?

এন্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় প্রাকৃতিক খাবার খেতে পারেন,লেবু,বাতাবিলেবু, কমলা,মাল্টা,আমলকি,ইত্যাদি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার। ভিটামিন ই জাতীয় খাবার ডিম দুধ,কলিজা, মাখন, বাদাম ইত্যাদি।


ঘিয়ে ভাজা রসুন এটা এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, কাঁচা রসুন না খাওয়ায় উত্তম প্রয়োজনে গার্লিক ট্যাবলেট খেতে পারেন। মধু আর খেজুর খাবেন নিয়মিত। ভাত কম খেয়ে গোশত খেতে পারেন।
কিসমিস রেগুলার খেতে হবে। পরিমিত যৌন ব্যায়াম করুন।

উপসংহার

উপরোক্ত বিষয়গুলো যদি আপনি সঠিকভাবে মেনে চলতে পারেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহর রহমতে আপনি এক মাসের মধ্যেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে। এবং আপনার বীর্য অনেকটাই ঘন হয়ে যাবে। এবং সেই সাথে আপনি যৌন মিলনের সম্পূর্ণ তৃপ্তি পাবেন।

আরো পড়ুন:- ফোরপ্লে করার সঠিক পদ্ধতি

আরো পড়ুন:- দীর্ঘক্ষণ সহবাস করার উপায় কি

আরো পড়ুন:- বাসর রাতে প্রথম মিলনে করণীয় কি?

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *