কেমন নারী বিয়ে করা উচিত – Dr S R Khan
চরিত্র ও আমলে যে ভালো সেই জীবনসঙ্গী হিসেবে উত্তম। যে ধর্মেরই হোক না কেন ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে যার জীবন তার থেকেই বেশি শান্তি আশা করা যায়।
যে নারী তার রব কে ভালোবাসে, ভয় করে, আদেশ নিষেধ মেনে চলে,স্বামীর হক সম্পর্কে ভালো মতো জানে আশা করি বিয়ের পর স্বামীর খেদমত, সন্তুষ্টিতে সে একধাপ এগিয়ে থাকবে।
বাহ্যিক সুরত না অন্তরের সৌন্দর্যকেই মুখ্য গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
কেমন নারী বিয়ে করা উচিত – যেই নারী বিয়ে করলে আপনি সুখী হবেন
আমল ও আখলাক সুন্দর হলে অনেক সময় শ্যাম বা কালোবর্নের মেয়েরাও বেশ ভালো সংসারি হয়ে থাকে। কিন্তু আফসোস তো এটাই যে এযুগে ছেলেরা ফর্সার কাছে দ্বীনের আলোকে কম্প্রোমাইস করে।
অনেক মেয়েদেরই বিয়ের আগে অন্যত্র সম্পর্ক থাকে। বিয়ের আগে এক বা একাধিক পুরুষের সাথে প্রাক বৈবাহিকজীবনে অবাধ মেলামেশা করলে বিয়ের পর দূর্বল স্বামীকে বিভিন্ন সময়ে অপমান অপদস্ত হেয় হতে হয়।
কেননা পূর্বের বেড পার্টনারের স্মৃতি ভুলতে না পেরে স্বামীর সাথে রূঢ় আচরণ করে।
স্ত্রী যদি বাবার বাড়িতে ঘরোয়া আদব কায়দা না শিখে,আত্মীয় স্বজন উশৃংখল হলে প্রতোক্ষ বা পরোক্ষভাবে স্ত্রীর উপর প্রভাব পড়বে এবং এতে করে স্বামী ও সন্তানের উপর ও কিছুটা প্রভাব পড়ে তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে।
বিয়েতে কাছর আত্মীয় স্বজন এড়িয়ে চলা ভালো কেননা এতে যৌন আকর্ষন কম হওয়া এবং সন্তানদের মধ্যে ও কিছু জেনেটিকেলি রোগ হতে পারে। দ্বীনদার,সুশ্রী,মায়াবী হাসিখুশি স্বভাবের মেয়েরা ভালো হয়।
যে নারী বিয়ের আগে চরিত্র হেফাজত করে এবং স্বামীর হক আদায় করে পরকীয়ায় লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
গোনাহ কে গোনাহ জানতে হবে,অন্তরের ঘৃনা করতে হবে। সাময়িক সুখের জন্য অবাধ মেলামেশা কে না বলি। যারা যি-না ব্যভিচারে আসক্ত, তারা না ব্যক্তিগত ভাবে সুখী আর না সংসার জীবনে!! এবং অসুখী মানুষের সোহবতে আপনি কখনও সুখী হবে না।
যাকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন সে শুধু স্ত্রীই নয়, সে হবে আপনার ভবিষ্যত সন্তানের মা। এজন্য প্রথমেই তিনি কেমন মা হবেন মনে একটা ধারনা রাখবেন। সুসন্তান সংসারকে আলোকিত করে এবং পিতামাতা কে গর্বিত করে।
বয়সের ব্যবধান ৪-৬ বছর হলে ভালো হবে এবং কুমারী নারী বিয়ের জন্য উত্তম।
আরো পড়ুন:- পিকিং মেথড কি
আরো পড়ুন:- মাল্টি অর্গাজম কি
আরো পড়ুন:- যেই ১০ টি কারণে আপনার যৌন শক্তি কমে যাচ্ছে
বিয়ের উদ্দেশ্য কি ?
১.সংসার করা
২.যৌন তৃপ্তি বা সুখ লাভ করা
৩.মানবজাতির বংশ বিস্তার করা
৪.সামাজিক মান মর্যাদা বজায় রাখা
৫.স্ত্রী বা স্বামীর সেবা নেওয়া
৬.স্বামী স্ত্রীর অভিভাবকের ভূমিকা রাখা।
৭.মনের সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করা
৮.কামভাব বৈধভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখে ইবাদত বন্দেগি করা
আর ও অনেক উদ্দেশ্য, উপকারিতা রয়েছে।
অনেকেই শুধু মাত্র এই কারণে বিবাহ করে না যে নারীকে হয়তো পরিপূর্ণ তৃপ্তি দিতে পারবে না এই দুশ্চিন্তায়। তবে এটা সত্য যে কোটি কোটি পুরুষ নারীকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দিতে না পারলেও বিয়ে করে বাকি জীবন পার করে দিচ্ছে।
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা না করে বিয়ের বয়স পার না করে সময় মত বিয়ে করে নেওয়াই উত্তম সেক্ষেত্রে বিশেষ ভদ্র, নরম স্বভাবের স্ত্রী প্রয়োজন, উচ্ছৃঙ্খল নারী পেলে শতভাগ ই ডিভোর্স! জ্ঞানী ব্যক্তি ইশারাতে বুঝে।
যারা বুঝে সারাজীবন বুঝালেও বুঝবে না। বিবাহ ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা
আপনি কি খুব শীঘ্রই ই বিয়ের কথা ভাবছেন?
যার সাথে বাকিজীবন টা পার করবেন, মনের সুখ দুঃখের অনুভূতি গুলো ভাগাভাগি করবেন, আপনার অনাগত সন্তানের মা হবে, তার শিক্ষা, ধর্মীয় আচরণ, কথা, হাসি কেমন হবে পাত্রী বাছাই করার আগে কয়েকবার ভাবতে হবে।
এই জায়গায় এসে একটু বিরতি নিতে হবে।মোটেও তাড়াহুড়ো করবেন না, যারা তাড়াহুড়ো করেছে এখন সত্যি বেশ আফসোস করে। শ্বশুর শ্বাশুড়ি কেমন হবে এগুলোও দেখে নিবেন।
বাহ্যিক সৌন্দর্য, টাকা পয়সা থাকলে ভালো তবে এটাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ধর্ম কে অবহেলা করলে আপনার জীবন, সুখ শান্তি অবহেলিত হয়ে যাবে।
বিয়ের আগে নোংরামি করবেন না। মন দেহটা পরিষ্কার পবিত্রময় রাখতে পারলে বিয়ের পর বাকি সময়টাতে সমস্যা আসলেও সমাধান আল্লাহ সহজ করে দিবে আর অন্তরে শান্তির বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে।
যারা বিয়ের আগে ইনজয় করেছে, ছেলে মেয়ে একাকার হয়ে যাচ্ছে,টাইম পাস করছে তাদের দেখে আফসোস করবেন না! এমন একটা সময় আসবে যখন জীবন তাদের কে উপহাস করবে, ন-ষ্টা-মির খেসারত দিতে হবে। আপনি কষ্ট করে আল্লাহর জন্য নিজেকে সংযত করেছেন এর ফল নিশ্চিত পাবেন,যদিও সেটা এখন বুঝে আসছে না।
যদি বিবাহিত কোন সিনিয়রের সাথে কথা বলার সুযোগ হয় বা তাদের জীবন দর্শন করতে পারেন। দেখতে পারেন বিয়ের আগে বেশ ইনজয় করা মানুষ আর যে যুবক যুবতী যারা নিজেদের সংযত রেখেছিল? কার বিবাহ পরবর্তী জীবন কেমন?
অতএব সবর করুন যদিও এটা অনেক কঠিন তবে ফল কিন্তু অনেক মিষ্টি!!
আরো পড়ুন:- ফোরপ্লে করার সঠিক পদ্ধতি
আরো পড়ুন:- দীর্ঘক্ষণ সহবাস করার উপায় কি
আরো পড়ুন:- বাসর রাতে প্রথম মিলনে করণীয় কি?
Dr S R Khan – Skin and Sex Physician MBBS (ShSMC)
এমবিবিএস (শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ) ঢাকা।
সাবেক মেডিকেল অফিসার ইবনে সিনা হসপিটাল ধানমন্ডি
সাবেক পিআরপি আইসিডিডিআরবির, মহাখালী, ঢাকা
বিএমডিসি রেজি ৯২১৯৩
চেম্বার :TestoLife Hospital
আরশিনগর বসিলা, মোহাম্মদপুর ঢাকা।