অবৈধ যৌন জীবন এর কুফল

অবৈধ যৌন জীবন এর কুফল – ডা. এস আর খান

বিবাহ ব্যতিত অন্য যেকোন উপায়ে যৌন চাহিদা পূরণ করাটাই তো অবৈধ যৌন জীবন!! এটা নারী পুরুষকে যেকোনো সময় যেকোনো বয়সে ধোঁকা দিতে পারে। নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি প্রকৃতিগত ভাবে অনেকের মধ্যেই কম বেশি ঝুঁকে যাওয়ার প্রবনতা থাকে।


কেউ ইচ্ছেই আবার কেউ অনিচ্ছায় এই পথে পা বাড়ায়। এক পর্যায়ে অবৈধ যৌন জীবন খারাপ লাগলেও পরবর্তীতে অনেকেরই নেশার মতো পরিনত হয়ে যায় যা থেকে চাইলেও বেরিয়ে আসতে পারেনা।ভেতরে ভেতরে অনুশোচনার একটা আগুন জ্বলতে থাকে।

কয়েকধরণের অবৈধ যৌন জীবন দেখা যায়ঃ-


১.হস্তমৈথুন
২.পরকীয়া
৩.যৌন কর্মীদের কাছে যাওয়া
৪.নিজের পরিচিত বন্ধু বা বান্ধবীর সম্মতিতে অবাধ মেলামেশা করা
৫.সমকামী বা পশু-গামি বা বিকৃত যৌনা-চার ইত্যাদি।

অবৈধ যৌন জীবনের ফলে কি কি ক্ষতি হয়?

১.এদের মানসিক বিকৃতি দেখা যায়, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, ভালো কাজ আর ভালো লাগেনা।
সবসময়ই হতাশা ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকে, কোন কাজে আনন্দ পায়না।

২.বিয়ের পর যৌ-ন জীবনে সুখি হওয়া যায় না।

৩.বিভিন্ন ধরনের যৌ-ন রোগ বাসা বাধে।

৪.অনেক ঔষধ সেবন করতে হয় এবং কোন কোন ক্ষেত্রে এদের ঔষধ ও আর কাজ করেনা।

৫.অবৈধ যৌ-ন জীবনে অভ্যাস থাকলে বিয়ে করতেও ভয় পায়।

৬.সমাজে, ব্যক্তিগত জীবনে চরম অপমানের শিকার হতে হয়।

৭.কর্মজীবন,পড়ালেখা, ক্যারিয়ারে ধীরে ধীরে পিছিয়ে পরে।

আরো পড়ুন:- বাসর রাতে প্রথম মিলনে করণীয় কি?

আরো পড়ুন:- ফোরপ্লে করার সঠিক পদ্ধতি

আরো পড়ুন:- যেই ১০ টি কারণে আপনার যৌন শক্তি কমে যাচ্ছে

অবৈধ যৌন জীবনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে করনীয় কি??

১.যদি ভুল হয়ে যায় মন থেকে তওবা করা এবং তওবার পথে অবিচল থাকা। আপনি যে ধর্মের ই হোন না কেন ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা।

২.একাকি না থাকা,ভালো লাগার কাজগুলো খুঁজে বের করা,যে কাজে আনন্দ পাবেন সেই কাজে ব্যস্ত থাকা।

৩.অল্প বয়সে চরিত্রবান জীবনসঙ্গী দেখে বিবাহ করা।

৪.নিজেকে যাচাই বাছাই করার জন্য পর-কীয়া, খারাপ জায়গায় না যাওয়া।

৫.পর্ণ মুভি না দেখা,নেশার জগতে না যাওয়া।

৬.ভালো বই পড়ার অভ্যাস করা এবং ব্যক্তিজীবনে অনুশীলন করা।

৭.নিজের ভালো থাকার জন্য নিজের নফসের সাথে, শয়তানের সাথে সর্বদা সংগ্রাম সাধনা চালিয়ে যাওয়া

৮.মনে রাখতে হবে সাময়িক সুখ আনন্দ ত্যাগ করতে পারলেই আপনি সত্যি ই সফল হতে যাচ্ছেন, যতো কষ্টই হোক নিষিদ্ধ জিনিস কে না বলুন।

খুব শীঘ্রই আপনি বিজয়ের হাসি হাসবেন ইনশাআল্লাহ।

বীর্যের পরিমান কেমন হওয়া থাকা প্রয়োজন?

প্রতিবার মিলনে স্বাভাবিক সুস্থ পুরুষের প্রায় ১-৬ মিলি পরিমান বী-র্য বের হয়।প্রথমবার মিলনে এবং দীর্ঘদিনের বিরতির পর মিলনে বী-র্যের পরিমান বেশি থাকে।

দ্বিতীয়বার মিলনে পরিমাণ কমে যায় এমন কি কখনো কখনো বী-র্যপা-ত ছাড়াই মিলন শেষ হয়ে যেতে পারে। বী-র্যের পরিমান ও ঘনত্বের কারনে মিলনে যৌ-ন তৃপ্তির হেরফের হয়ে থাকে। পুরুষের বী-র্যে শুক্রানু,পানি,ভিটামিন, মিনারেল,গ্লুকোজ,ফ্রক্টোজ এবং বিভিন্ন এনজাইম থাকে।

বী-র্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো শুক্রানু। সুস্থ পুরুষের ৩০-১২০ মিলিয়ন পর্যন্ত শু-ক্রানু থাকে যা প্রায় ৩ কোটি থেকে ১২ কোটি!!

অতিরিক্ত হস্ত-মৈ-থুন, স্বপ্ন-দো-ষ হলে বী-র্য পানির মতো পাতলা হয়ে যায়। বী-র্য বয়ঃ সন্ধিকাল থেকে উৎপাদন শুরু হয় অন্ড-কোষ বা টেষ্টি-স থেকে।


দুটা অন্ড-কোষের একটা থাকলেও পুরুষ পিতা হতে সক্ষম। অতিরিক্ত টাইট আন্ডারওয়্যার এবং অতিরিক্ত তাপমাত্রা বী-র্য উৎপাদন কমিয়ে দিতে পারে। মনে রাখা প্রয়োজন অবৈধ যৌন জীবন এর ফলে আপনার বীর্যের পরিমাণ কমে যেতে পারে ।

বীর্যের গুনগত মান ঠিক রাখার জন্য করণীয়

১.খেজুর কিসমিস, টাটকা শাকসবজি, ফলমূল খেতে হবে।
২.জিংক সমৃদ্ধ খাবার বা সরাসরি জিংক ট্যাবলেট বেশ উপকারী।
৩.ডিম, দুধ, টক দই, বাদাম বী-র্যের গুনগত মান বৃদ্ধি করে।
৪.ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমনঃ-লেবু,আমড়া,করমচা,মাল্টা,কমলা ও শুক্রানুর গঠনে ভূমিকা রাখে।

আরো পড়ুন:- পানির মতো পাতলা বীর্য! ঘন করবেন কিভাবে?

আরো পড়ুন:- দীর্ঘক্ষণ সহবাস করার উপায় কি

আরো পড়ুন:- দ্রুত বীর্যপাত থেকে মুক্তির ১০ টি কার্যকরী উপায়

আরো পড়ুন:- স্ত্রীকে খুশি করার উপায় এবং সংসারে অশান্তির কারণ

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *